আজ - | | হিজরী

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আইনি প্রক্রিয়া কী?

News Probashirkotha24.com
  • আপডেট টাইম :   সোমবার | মে ১২, ২০২৫ | ০৫:৩৯ এএম
  • ৯৫২০ বার
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। যেখানে এই দাবিতে আন্দোলনে নামা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে অবস্থানের ঘোষণা দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
পরে আন্দোলনে যোগ দেন এনসিপি'র কেন্দ্রীয় নেতারাও। রাতভর বিক্ষোভ চলার পর শুক্রবার সকালে সেখানে যোগ দেন জামায়াতে ইসলামীসহ আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। অপরদিকে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ ও আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে  গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই গণঅধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পল্টন মোরে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে  তাদের দলের অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগের  নিবন্ধন বাতিল না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তারই  সাথে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন এর নেতৃত্বে সারা দেশের তারুণ্য নির্ভর যুব সমাজকে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং দলমত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনকে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।  বাংলাদেশের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক দলকে 
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারের অবস্থান এবং কোন প্রক্রিয়া বা আইনের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন হতে পারে, এসব বিষয়ে বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলেছে নবজাগরণ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক ছাত্রনেতা বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন। সরকার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে"।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন বিবেচনায় রাখছে সরকার"।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বানও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, "জনদাবীর প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রচলিত আইনের অধীনে এরই মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া, সরকারের পক্ষে থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।

তবে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়।
স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আইনের ভিত্তিতেই একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে।
আইন যা বলে, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন যদি আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে সরকার সেটি নিষিদ্ধ করতে পারে। এমনকি তাদের সম্পদ ও তহবিল বাজেয়াপ্ত করারও সুযোগ রয়েছে।
এই আইনের 'ধ্বংসাত্মক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ' অধ্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোও অন্তর্ভুক্ত।
১৯৭৮ সালের রাজনৈতিক দল অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা বা নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কোনো মতাদর্শ প্রচার বা কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করা যাবে না।'
এতে আরও বলা হয়, কোনো রাজনৈতিক দল 'গোপন সংগঠন (আন্ডারগ্রাউন্ড অর্গানাইজেশন), গ্রুপ বা সংস্থাকে সহযোগী সংগঠন হিসেবে রাখতে পারবে না; বা কোনো 'সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী', 'স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী' বা অন্য কোনো 'শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী' গঠন বা পরিচালনা করতে পারবে না।'
এছাড়া, ২০০৯ সালে প্রণীত সন্ত্রাসবিরোধী আইনেও সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট অপরাধ ও শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইনের আওতায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের লক্ষ্যে গঠিত হয় এন্টি-টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
এই আইনগুলো ব্যবহার করেই বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধের ইতিহাস বলে,
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সকল ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে। এতে জামায়াতে ইসলামি-সহ অন্যান্য দলও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি সায়েমের শাসনামলে ১৯৭৬ সালে জামায়াতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় এবং ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে দলটি পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করে।
তবে ২০১৩ সালে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামির নিবন্ধন বাতিল করে। কারণ হিসেবে দলটির গঠনতন্ত্র দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায়।
২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশব্যাপী আন্দোলনের সময় সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করে। তবে গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার প্রমাণের অভাবে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ: কোন আইনে?
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিবিসি বাংলাকে বলেন, পলিটিক্যাল পার্টি অধ্যাদেশ- ১৯৭৮ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন- ২০০৯, এই দুটি আইনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল বরখাস্ত, সাময়িক অথবা আজীবন নিষিদ্ধের সুযোগ রয়েছে। তবে এখানে অনেকগুলো বিষয়ে বিতর্ক বা বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।

মি. বড়ুয়া বলছেন, পলিটিক্যাল পার্টি অধ্যাদেশ- ১৯৭৮ এর বিধান অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল বা তাদের কর্মকাণ্ড যদি বাতিল করতে হয়, তাহলে হাইকোর্টের কাছে রেফারেন্স আকারে পাঠাতে হয়- যা হাইকোর্ট মামলার মতো করে দুই পক্ষের শুনানি করেন।

বিধিমালা অনুযায়ী, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ব্যত্যয়, সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার মতো কতগুলো নির্দিষ্ট বিষয়ে যদি সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলেই হাইকোর্টে রেফারেন্স আকারে পাঠানো যায়। এরপর শুনানি করে যে সিদ্ধান্ত দেন, সেটিই চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করে পরবর্তীতে সরকার তা প্রচার করে। এছাড়া সন্ত্রাস দমন আইনেও এটি করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান মি. বড়ুয়া। এই আইন অনুযায়ী, যদি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে, আর্থিক লেনদেন রয়েছে অথবা রাজনৈতিক দলটিকে সন্ত্রাসের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ থাকে তাহলেও দলটিকে সাময়িক সময়ের জন্য বা চিরতরে নিষিদ্ধ করার সুযোগ আছে।
মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন এই আইনের ধারা অনুযায়ী ১৯৭৪ সালে আওয়ামীলীগ ধ্বংসকারী শেখ মুজিবের করা কালো আইনের ১৯ ধারায় সরকার চাইলে দলটি নিষিদ্ধ করতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে এমন কোন সন্ত্রাসী অপকর্ম নেই যেটা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিয়ার হত্যায় ৫৭ জন মেজর জেনারেল কে হত্যার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সাম্রাজ্যবাদের উত্থান হয়। সমাজের দর্পণ ও আয়না খ্যাত সাংবাদিক সাগর রুনির সত্য কথায় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল, দুটি জীবন দিয়ে এই সত্যের জীবন প্রদীপ নিবিয়ে দিতে চেয়েছিল হাসিনার গুম-খুন কমিশন। ২০১৩ সালে ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার আলেম-ওলামাদের রাতের আধারে গুলি করে হত্যা করেছিল হাসিনা সরকার। এমনকি হাজারো লাশ গণ কবর দিয়ে দিয়েছিল অজ্ঞাত স্থানে। দিগন্ত টিভি শাপলা চত্বরের সেই কালো রাতের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ওই ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই  তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেয় এবং সেই ভিডিও ফুটেজ হাতিয়ে  নিয়ে নেয়। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষা নদীর সেই সাত খুন আজও শিহরিত মানুষের হৃদয়ে। রানা প্লাজার পরিকল্পিত শ্রমিক হত্যায় প্রকম্পিত হয়েছিল গোটা বিশ্ব। সিলেটের ইলিয়াস আলীকে আয়না ঘরে নিয়ে নির্যাতনের পরে হত্যা করে নদীতে টুকরো টুকরো করে ভাসিয়ে দেয় তার দেহের খন্ডিত অংশ যা আজও মানুষের হৃদয় শিহরিত। বিনে বিচারে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম-খুন ও আয়না ঘরে বন্দী করে যে গুম-খুনের ইতিহাস রচনা করেছে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ সরকার তা ইতিহাসের পাতায় মানুষ আজীবন স্মরণ করবে যতদিন এ পৃথিবী থাকবে। গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে ১৫,০০০ মানুষকে খুন করিয়েছে আওয়ামী সরকার। সাড়ে চার হাজার মানুষকে বিচারবহির্ভূত হত্যার স্বীকার হয়েছে ১৭ বছরে। এই হাসিনার শাসন আমলের গত ১৭ বছরে প্রায় ৬০ লাখ মানুষের নামে গাইবি মামলা করা হয়েছে। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ২,০০০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ও ৩০,০০০ হাজার মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে  গুলি করে, যারা বেঁচে গেছে তারা গুলিবৃদ্ধ হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। একক আধিপত্য বিস্তারের জন্য এক নায়ক তান্ত্রিক  ও স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে এই ১৭ বছরে। সর্বশেষ ২০২৪ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এ পতন শুধু একটা রাজনৈতিক দলের পতন নয় এ পতনের মধ্য দিয়ে একটা সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট, এক নায়ক তান্ত্রিক স্বৈরশাসক  সাম্রাজ্যবাদীর অধ্যায়ের পতন হয়েছে। এই সাম্রাজ্যবাদ দেশের স্বাধীন ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ছিল যার নিয়ন্ত্রণের চাবি ছিল ভারতের কসাইখ্যাত নরেন্দ্র মোদির হাতে। এই যখন অবস্থা তখন সবকিছুই মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে গণ্য হবে। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিচার করে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেই এই প্রতিজ্ঞায় ছাত্র জনতা দেশের সাধারণ মানুষ  তাকিয়ে আছে যেন দ্বিতীয় কোন স্বৈরাচার সরকার এই দেশে প্রতিষ্ঠিত না হয় সেই লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভৌগলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন-আস্থায় নতুন রাজনৈতিক দল ও পুরানো রাজনৈতিক দল নিজের স্বার্থ উৎসর্গ করে দেশের স্বার্থে  কাজ করবে এই প্রত্যাশা করি। সেই সাথে আরেকটি কথা বলতে চাই বৈশ্বিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের অবস্থা বিবেচনায় একটি জাতীয় সরকার গঠন করলে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি রোল মডেল হয়ে দাঁড়াবে আগামির বাংলাদেশ।

মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম। 
তরুণ রাজনীতিবিদ,
সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক 
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।


ঢাকা বিভাগ ক্যাটেগরির আরো সংবাদ